কী কারণে Bell’s Palsy হয়?
Bell’s Palsy সাধারণত মুখের স্নায়ু (Facial Nerve) আকস্মিকভাবে সোয়েলিং বা ইনফ্লেমড হয়ে যায়, যার ফলে স্নায়ু স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না।
🔹 সম্ভাব্য কারণগুলো:
-
ভাইরাল সংক্রমণ:
-
সবচেয়ে সাধারণ: Herpes Simplex Virus (ঠোঁটের ফোড়া বা জ্বরঠোসার ভাইরাস)
-
অন্য ভাইরাস: Influenza, Epstein-Barr (EBV), Varicella-Zoster (chickenpox/shingles)
-
-
ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে (ঠান্ডা লাগা, স্ট্রেস, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি)
-
ঠান্ডা বাতাসে ঘুমানো বা মুখে হাওয়া লাগা (লোকজ অভিজ্ঞতায় অনেকে এটিকে কারণ বলে মনে করেন)
-
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়
✅ ২. Bell’s Palsy-এর লক্ষণ কী কী?
সাধারণত হঠাৎ করেই মুখের এক পাশে লক্ষণ শুরু হয়:
লক্ষণ বিবরণ মুখ এক পাশে ঝুলে পড়ে হাসলে বা কথা বললে স্পষ্ট বোঝা যায় চোখ বন্ধ করতে না পারা চোখ শুকিয়ে যায় লালা পড়ে যাওয়া এক পাশ দুর্বল হয়ে গেলে এটা হয় স্বাদের পরিবর্তন জিভের সামনের অংশে কান বা ঘাড়ে ব্যথা অনেকের ক্ষেত্রে হয় কথা অস্পষ্ট হওয়া ঠোঁট ও জিহ্বা একসাথে কাজ না করলে
৩. যদি Bell’s Palsy হয়, তাহলে কী করবেন?
🩺 চিকিৎসা:
-
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে।
-
চিকিৎসক সাধারণত দেন:
-
স্টেরয়েড (Prednisolone) – স্নায়ুর ফোলাভাব কমাতে
-
Antiviral ওষুধ – ভাইরাস থাকলে (যেমন: Acyclovir)
-
Painkiller – ব্যথা কমাতে
-
-
চোখের যত্ন নিতে হবে:
-
চোখ বন্ধ না হলে Artificial tears দিন
-
রাতে চোখে Eye patch ব্যবহার করুন
-
💪 ব্যায়াম / ফিজিওথেরাপি:
-
মুখের হালকা ব্যায়াম করলে সেরে উঠা ত্বরান্বিত হয়
-
যেমন: ঠোঁট ফোলানো, চোখ বন্ধের চেষ্টা, চিবানোর অনুশীলন
⏳ কত দিনে ভালো হয়?
-
বেশিরভাগ মানুষ ২–৩ সপ্তাহের মধ্যে উন্নতি দেখতে পান
-
৭০-৮৫% মানুষ সম্পূর্ণ সেরে ওঠেন ২-৩ মাসের মধ্যে
-
কিছু ক্ষেত্রে ৬ মাস পর্যন্ত লাগতে পারে
⚠️ কখন সতর্ক হবেন?
-
দুই পাশে মুখ দুর্বল হলে
-
শরীরের অন্য জায়গা দুর্বল হলে
-
কথা জড়িয়ে গেলে বা জ্ঞান হারালে
আক্কেলপুর ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
📍 মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স আক্কেলপুর
📞 ফোন: 01314-924286
⏰ সময়: প্রতিদিন সকাল ৮ টা – রাত ৮ টা
🌐 ওয়েবসাইট: akkelpurphysiotherapycentre
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ I যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন 01314924286